মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বিএনপি এবং অন্যরা যারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে, তারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। অথচ তাদের সাধের পাকিস্তান আজ ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র।
তিনি বলেন, তাদের নেতারা সুযোগ পেলেই পাকিস্তানের গুণগান গায়। এখনো তারা পাকিস্তানকে হৃদয় দিয়ে লালন করে। এ থেকেই বোঝা যায় তারা কতোটা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানে আছে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও স্থিরচিত্র ভাঙচুরের ঘটনা এটি তারই বহির্প্রকাশ।’
শনিবার (১৭ জুন) বিকালে চট্টগ্রামের জামালখানে গত ১৪ জুন যুবদলের তারুণ্য সমাবেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, এদের মনের মধ্যে পাকিস্তান ঘুরে বেড়ায়, তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হামলা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর হামলা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি জাতির পিতা। তার জন্ম না হলে দেশই স্বাধীন হতো না। যারা স্বাধীনতা মানে, তারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভাজন, বিভক্তি, মতাদর্শের অমিল ও মতপার্থক্য থাকতেই পারে; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর হামলা প্রকারান্তরে এ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর হামলা, স্বাধীনতার ওপর হামলা। কাজেই এটার শুধু নিন্দাই করি তা নয়, যারা এজন্য দায়ী ব্যক্তি তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।’
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার (১৪ জুন) নগরীর কাজিরদেউড়ী মোড়ে বিএনপির তিন সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রদল-যুবদলের মিছিল থেকে জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ অন্তত ৫০টি চিত্রকর্ম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। যদিও শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।