থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতের রায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাকে সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষমতায় থাকার ঘটনায় করা মামলায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বুধবার ( ২৪ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটিতে একজন প্রধানমন্ত্রী ৮ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। দেশটির বিরোধীদের অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষমতায় রয়েছেন ওচা। এ নিয়ে আদালতে মামলা করা হয়।
২০১৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন থাই প্রধানমন্ত্রী ওচা। ২০১৯ সালে একটি সামরিক সরকারের নির্দেশিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখেন। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সাময়িক স্থগিত করেন আদালত। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধীদের তোপের মুখে রয়েছেন ওচা। যদিও গত মাসে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হন তিনি।
আদালত জানায়, এ সময় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হবে। বর্তমান উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রাবিত ওংসুওয়ান এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন বলে জানা গেছে।
আদালত এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিরোধীদের করা আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় সর্বসম্মতভাবে সেটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদের সীমার বিষয়ে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এ জন্য ২৪ আগস্ট থেকে প্রায়ুতের সব সরকারি দায়িত্ব স্থগিত করেছেন আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে ২০১৪ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুথ।
পরে ২০১৯ সালে এক বিতর্কিত নির্বাচনে জয় পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ পুরোপুরি তার সামরিক জান্তার অধীনে