প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে পুরো বিশ্ব। এর মধ্যে পুরো ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। তার উপর অতিমাত্রায় তাপপ্রবাহ তীব্রতর করে তুলেছে খরা পরিস্থিতিকে।
ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে হওয়া ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা শুরু হয়েছে। এছাড়াও ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। তবে গ্রিস, স্পেন এবং ইতালিতে দাবানল মোকাবেলায় এখনো কাজ করে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। অন্যদিকে তাপপ্রবাহ উত্তর থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার ফলে নিম্ন জলস্তর জার্মানির নদীগুলোতে পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।
মানবসৃষ্ট এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ আরো ঘন, ঘন, আরো তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ১.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। সারা বিশ্বের সরকাররা যদি বিষাক্ত গ্যাস নির্গমনের হার না কমায় তাহলে এই তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
সারা বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই অত্যধিক তাপের কারণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পর্তুগালে ১০০০ জনেরও বেশি এবং স্পেনে কমপক্ষে ৫০০ জন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের উত্তর-পূর্ব মাউন্ট পেন্টেলিতে আগুন লেগেছে। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। পল্লীনি শহরের কাছের শহরে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কর্মীরা আগুনে পোড়া ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য কাজ করছে।
দমকলের হেলিকপ্টার অনবরত পানি ঢেলে যাচ্ছে। তবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে উঠেছে। সে অঞ্চলের সকল জলনাহক মোতায়েন করে হয়েছে আগুন নেভানোর জন্য। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। আগুন নেভানোর জন্য গ্রিসের ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য অঞ্চলে থেকে সাহায্য চেয়েছেন।
পূর্ব গেরাকাসহ আশেপাশের এলাকা থেকে শত শত লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সে এলাকাটিতে প্রায় ৩০ হাজার লোক বসবাস করেন বলে জানা গেছে। একটি শিশু হাসপাতাল এবং এথেন্সের ন্যাশনাল অবজারভেটরিও খালি করা হয়েছে।