বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাসে মঙ্গলবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকালে অপরাজিতা হলের এক ছাত্রী বটি দিয়ে গলা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইলেকট্রনিক ডিভাইস, রাইস কুকার ও ছুরিসহ সব ধরনের সরঞ্জাম জব্দ করার নোটিশ জারি করে।
ঘোষণার পর পরই হলের শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরের তালা ভেঙে আন্দোলন শুরু করে এবং রাত ১০টার পর তাদের দাবির পক্ষে ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
এই সময় আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা হাদী চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে এবং রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করে।
প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল-রান্নায় রাইস কুকার ও অন্যান্য পাত্র ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা শিক্ষার্থীদের হয়রানির জন্য ক্ষমা চাওয়া, অভিভাবক ও নারী আত্মীয়দের হলে থাকার অনুমতি দেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করা এবং হলগুলোতে খাবারের মান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নত করে একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা রিম্মি বলেন, তাদের সকল দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ আমরা চাইনা সন্তানেরা কষ্ট পাক। তাদের হল, তারা যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবে চালাবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী কখনও পতিপক্ষ হতে পারে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি না।