দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ অন্যান্যরা।
শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইনের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেন্ডশিপ রিসিপ্ট টার্মিনালটি হবে দেশের মধ্যে প্রথম আধুনিক অটোমেটিক ও কম্পিউটারাইজ সিস্টেমের। পথিমধ্যে অথবা অন্য কোনোভাবে পাইপলাইনে কিছু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষণিক স্থান চিহ্নিত করা যাবে।
ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি স্টেশন থেকে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের মাধ্যমে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রিসিপ্ট টার্মিনালে বছরে আড়াই থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হবে। এতে খরচ কমে আসার পাশাপাশি জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বলয় তৈরি হয়েছে।
টার্মিনাল ও ডিপোতে দুই মাসের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি মজুদ রাখা নিশ্চিত হয়েছে। ভিন্ন পথে আমদানি করা প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম ১১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানিতে খচর নেমে আসবে মাত্র ৬ ডলারে। পাইপলাইনে পার্বতীপুরে ডিজেল আমদানির ফলে কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদে লক্ষাধিক সেচ পাম্পে এবং সৈয়দপুরের পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। যা ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি শেষে নবায়ন করা হবে অথবা সরকার নিজে পরিচালনা করবে।
আগামী ১৮ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পাইপলাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন তারা। এ ব্যাপারে ওই বছরের ৯ এপ্রিল একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল।