বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত বছর এক সফরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ বাংলাদেশে একটি জ্বালানি তেল শোধনাগার নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শোধনাগারের জন্য জমি প্রদান করতে সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট যৌথ কমিশনের সভা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কুয়েতের সহায়তার প্রশংসা করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যখন আসে সেসময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কুয়েতের অবদানের কথা তিনি বিশেষ করে স্মরণ করেন এবং ওই সহায়তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তিনি কুয়েতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানান।
পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন যে তার দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করবে। বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।