নতুন করে আরও ৪৪ দেশের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিয়েছে সরকার। এসব দেশে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিলে তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা পাবেন।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে এসআরও জারির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আপনারা জানেন আমাদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত একটি আইন রয়েছে। সেখানে বলা আছে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি বিদেশে কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। তাহলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চলমান রাখতে পারবে। কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে সেটা এসআরও মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। আগে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ মোট ৫৭টি দেশ ছিল।
মাহবুব হোসেন জানান, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশে বাংলাদেশের নাগরিকরা গিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চলমান রাখতে চান। সেটা বিবেচনায় নিয়ে আরও ৪৪টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগের ৫৭টি দেশের সঙ্গে নতুন করে আরও ৪৪টি দেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন ১০১টি দেশে বাংলাদেশের নাগরিকরা চাইলে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।
এতে নতুন ৪৪টি দেশের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশের ১৯টি দেশ (মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্কো, ঘানা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তিউনিসিয়া, সিয়েরা লিয়ন, লিবিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, বতসোয়ানা, মরিশাস)।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১২টি দেশ (ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, উরুগুয়ে ও গ্যায়ানা।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১২টি দেশ (কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বাহামা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস) এবং ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দেশ (ফিজি) মোট ৪৪টি দেশকে এসআরও তে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।