নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান এবং পরবর্তীতে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় ১৬ জন ও সদর থানায় ৭ জন রয়েছেন।
যদিও ভিন্ন বক্তব্য পুলিশের। পুলিশ কর্তৃক জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে গতকাল শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সন্দেহে এদেরকে আটক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন শিকদার জানান, তাদের মোট ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিবকে আটকের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু জানান, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় তারা ১০ জনকে আটক করেছন।
আটকদের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ আলী (১৮), বাদল (৩৩), জিহাদ (১৮), রিপন(১৮), মো. ফয়সাল (২২), হৃদয় (১৮), সিয়াম(১৯), তানভির হোসেন(১৮), ইমরান (১৮), জনি (৩০), সোহান (১৮), রিমন (২১), ইমন (১৮), তুহিন (১৬), রাজিব (৩৮) ও আবুল কালাম (৪৮)।
আটকদের নামে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, না.গঞ্জ ২ নম্বর রেলগেটে বিএনপি নেতা কর্মীরা পুলিশের উপরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার ঘটনায় সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না এখন বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, পহেলা সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়।