দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকেই শীর্ষ সারির একাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছেন দেশের রাজনীতির বড় নাম বিএনপি। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তফশিল ঘোষণার পর থেকে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। তাদের সকলকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনও-ওসিদের বদলি নিয়ে যা জানালেন ইসি
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে গণতান্ত্রিকভাবে কিছু বলার নেই’
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
এছাড়া রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
একইভাবে নির্বাচনে এসেছেন জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ ও ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু। তাদের প্রত্যেকেই হয়েছেন বহিষ্কার।
এ ছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
আবার টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।