২০২৪ সালের মধ্যে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং সেই নির্বাচনের আগেই বিরোধী দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মী ও মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস ও স্বর্ণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার(১৯-শে অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, এই পদক্ষেপের আওতায় ভেনিজুয়েলাকে একটি নতুন জেনারেল লাইসেন্স প্রদান করবে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় বা ট্রেজারি শাখা। সেই লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ছয় মাস। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, বিশেষ শর্তে ভেনিজুয়েলাকে এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে; সেই শর্ত হলো চলতি বছরের নভেম্বর শেষ হওয়ার আগেই দেশটির বর্তমান সরকারকে কারাবন্দি সব বিরোধীদলীয় নেতা ও মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিতে হবে। আর কারাকাস (ভেনিজুয়েলার রাজধানী) যদি এই শর্ত পূরণ না করে, সে ক্ষেত্রে ছয় মাস পর বাতিল করা হবে সেই লাইসেন্স।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিককে কারারুদ্ধ করার অভিযোগ তুলে দেশটির তেল, গ্যাস, স্বর্ণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৯ সালে জারি করা হয় সেই নিষেধাজ্ঞা।
বিশ্বের তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের অন্যতম সদস্য ভেনিজুয়েলার তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুত। দেশটিতে কয়েকটি স্বর্ণের খনিও রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সংকটে পড়েছিল দেশটির অর্থনীতি। তবে ট্রাম্পের আমলে এই সংকট মোচনের তেমন সম্ভাবনা ছিল না। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে কারাকাস। তার ফলশ্রুতিতেই বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাইডেন প্রশাসন।