কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলের চাষযোগ্য পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করে আধা-সরকারি পত্র দিয়েছেন।এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং রেলপথ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ আশা করেছেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী তাঁর ডিও লেটারে (আধা সরকারিপত্রে) বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল অবস্থায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমিতে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান, চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলপথের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এতে বলা হয়, আবাদের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে পত্রে আরও জানান হয়, সেই সঙ্গে সার ও জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কোন জমি যেন পতিত না থাকে, এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।