রেল চলাচল শুরুর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বহুমুখী সেতু হিসেবে দ্বার খুললো পদ্মা সেতুর। সড়কপথে যান চলাচলের ১০ মাসের মাথায় এবার সফলভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলো ট্রেন। পরীক্ষামূলক এই ট্রেন উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে পদ্মাপাড়ের মানুষের আরও এক স্বপ্নের জয় হলো।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা নদীর ওপর সড়ক সেতুর উদ্বোধন হলেও অপেক্ষা ছিল রেলপথ চালুর। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২১ মিনিটে পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘বিশেষ ট্রায়াল ট্রেন’।
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২১ মিনিটের সময় ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর অপরপ্রান্তে মাওয়া স্টেশনের উদ্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ রেলযাত্রা উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো বিশেষ ট্রেনে যাত্রা করে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আগেই হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালু না হওয়ায় একটা অপূর্ণতা ছিল। রেল সংযোগ উদ্বোধনে সেটাও পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। ফলে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি চালুর নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনে। এ সময়ের মধ্যে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত আমরা যাচ্ছি। মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বরে চালু করার আশা করছি।
এ সময় যাত্রী হিসেবে রেলমন্ত্রীর সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নাহিদ রাজ্জাক, সংরক্ষিত আসনের এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষামূলকভাবে রেলপথ ইন্সপেকশনের কাজে ব্যবহৃত একটি গ্যাং-কার পাঁচটি বগি নিয়ে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত টেস্ট-রান চালায়। এ সময় ট্রেনে ভ্রমণ করে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ অন্যান্যরা নির্মিত রেলপথসহ প্রকল্পের সার্বিক কাজ পরিদর্শন করেন।