ভারতের কর্ণাটক প্রদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে প্রায় বছরখানেক ধরেই জোরদার বিতর্ক চলেছে। এ বিষয়ে করা মামলাটি এখনো ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরমাঝেই এবার হিজাব বিতর্কে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার এক সরকারি স্কুলে।
মঙ্গলবার(২৩ নভেম্বর) হাওড়ার ধুলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ে স্কুলে প্রবেশের বিপরীতে নামাবলী জড়িয়ে স্কুলে যায় দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন হিন্দু শিক্ষার্থী। হিজাব পরে স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হলে নামাবলী জড়িয়েও স্কুলে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে বলে দাবি করেন তারা৷
মঙ্গলবার দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ জন ছাত্র স্কুলে নামাবলী জড়িয়ে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কিছু ছাত্রী। এদিকে ছাত্রদের স্কুল কর্তৃপক্ষ নামাবলী খুলে স্কুলে ঢুকতে বলে।
এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো স্কুলে। দুইপক্ষের তর্কাতর্কি একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় স্কুলে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্কুলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। শুরুতে স্কুলের ভেতর না ঢুকলেও পরিস্থিতি জটিল হলে বাধ্য হয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য স্কুলে ঢুকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার একাদশ শ্রেণির টেস্টের পরীক্ষাও বাতিল করার নির্দেশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক, পুলিশ, স্থানীয় ব্লক প্রশাসন এবং স্কুলের জেলা পরিদর্শক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, স্কুলে প্রি-বোর্ড পরীক্ষা চলছে। এই আবহে সোমবার কিছু ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিল। তাদের দেখে ছাত্রদের আরেকটি দল নামাবলী পরার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানায়।
তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের স্কুলের ড্রেস কোড অনুসরণ করতে বলে উত্তেজনা প্রশমিত করে।