কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে মুক্তিপণ দাবি করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় এরই মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত তিনজনকে উদ্ধার হলেও এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন– হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)। তাঁদের শসাখেত থেকে অপহরণ করে মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ের দিকে নিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কোনো ধরনের খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।
অপহরণের পরই একটি নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। এরপর থেকেই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী পরিবারের সদস্যদের বরাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,হ্নীলার পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের খেতখামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাহাড়ের পাদদেশে যেতে হয়। ধান ও শসাখেত থেকে পাঁচ কৃষককে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে। এর আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হ্নীলা ও হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকা থেকে একাধিকবার কৃষকদের অপহরণ করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে খেতে কাজ করতে যান ভুক্তভোগী পাঁচ কৃষক। তখনই তাঁদের ১০-১২ জন সন্ত্রাসী অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
অপহৃতদের মধ্যে আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো.শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধানখেত থেকে এবং নজির আহমদ(৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে(২৭) শসাখেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে ধরে নিয়ে যায়।
অপহরণের পরই সন্ত্রাসীরা পাঁচজনের প্রত্যেকের পরিবারে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা কৃষক শাহজাহানকে গুলি করে এবং আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এরপরেই কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে ধরে নিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় মো.শাহজাহান, আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।