ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে নিয়মিত পানি না থাকায় বালতি নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে হাতে বালতি নিয়ে এ অভিনব প্রতিবাদ জানান তারা।
জানা যায়, চারমাস ধরে নিয়মিত কোনো না কোনো সময় একটানা ২ থেকে ৩ ঘন্টা পানি থাকে না৷ শুক্রবার এই সংকট তীব্র হয়৷ সকাল ১০ টার পর থেকে পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠে৷ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পানি সংকটে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পবিত্র জুমার দিনে এরকম পানি সংকটে থাকায় বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। বারবার হল প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা ।
বঙ্গবন্ধু হলের উত্তর পাশে শেরে বাংলা হল সংলগ্ন পুকুর সংস্কারের করলে এই সংকটের সমাধান হবে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কয়েকবার পুকুরটির সংস্কারের কথা বলা হলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
গত কয়েকদিন আগে শেরে বাংলা হলে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পুকুর সংস্কারের বাস্তবায়নের কথা বলে গেছেন। এর আগেও ট্রেজারার পুকুর সংস্কারের কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের ছিটেফোঁটা আজও কেউ দেখেননি।
এ নিয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রনি বলেন , এ সমস্যাটার ব্যাপারে আমরা অফিসে কয়েকবার জানিয়েছি এমনকি ভিসি স্যারকেও জানিয়েছি। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। আজকে আমরা জুমার নামাজ পড়তে যাবো কিন্তু, ১০ টার আগে পানি শেষ। ওয়াশরুমে যাবো পানি নাই। খাবার পানিটাও নাই, আমরা এর সমাধান চাই।
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী সৈয়দ মুস্তাকিম বলেন, পানি দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর আমরা হলের এই ছয় থেকে সাত’শ শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন পানি সংকটে ভুগছি। কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত এর সমাধান করতে পারেনি। বর্তমানে জ্বালানি সংকট চলছে দেশজুড়ে আমাদের দাবি জ্বালানি সাশ্রয়ে আমাদের হলের পুকুরগুলো সংস্কার করে দিক। তাহলে আমাদের পানি সংকটও দূর হবে আবার জ্বালানিও সাশ্রয় হবে।
হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, প্রায় ২ মাস ধরে এ আমরা সমস্যায় ভুগছি। তাই এখন আমাদের দাবি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রোভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, হলের ছাদে বালতি নিয়ে প্রতিবাদ লোক দেখানো ও ইচ্ছাকৃত। একসাথে বেশি লোক গোসলে গেলে পানি থাকে না এটাই স্বাভাবিক৷ মোটরে একটু সমস্যা হচ্ছে ৷ রবিবার মিস্ত্রী আসবে ঠিক করতে৷
পুকুর সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, হলের ফান্ড দিয়ে পুকুর সংস্কার করা সম্ভব না৷ এজন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি৷
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।