অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই হামলার শিকার হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে তার সরকারি বাসভবনে এমন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ক্রেমলিনের ঐতিহ্যবাহী গম্বুজ থেকে কালো ধোঁয়া সরাসরি উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।
এই হামলাকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার একটি চেষ্টা হিসেবেই বর্ণনা করেছে রাশিয়ান সরকার। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিয়েভ সরকার রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে চালকবিহীন বস্তু দিয়ে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছে।”
দাপ্তরিক বিবৃতিতে ক্রেমলিন আরও জানায়, যে দুই ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়, সেগুলোকে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এই হামলাকে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী আক্রমণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না। এবং বর্তমানে তিনি নিরাপদেই রয়েছেন।
তারা বলছে, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ক্রেমলিন এলাকায় পড়েছে এবং তাতে কেউ আহত হয়নি আর ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা RIA জানিয়েছে, রাশিয়া মনে করে, তাদের এই ধরণের হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং উপযুক্ত সময়ে সেটা দেওয়া হবে।
তবে ঠিক কি করে এমন হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে কারো পক্ষেই এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি। ক্রেমলিনে এমন হামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন সামরিক কর্মকর্তা।
NBC News জানায়, রাশিয়ার উপর এমন হামলার পর বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন এসকল সামরিক কর্মকর্তারা। ক্রেমলিনের এত কাছ দিয়ে কোন ড্রোন উড়ে যেতে সক্ষম, এমন ধারণাও কেউ করেনি বলে জানান তারা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির রাশিয়ার বিষয়ক সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, পুতিনকে কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আর ড্রোন কীভাবে এতো দূরে তার বাসভবন ক্রেমলিনের কাছে গিয়ে পৌঁছাল সেটা এক বিস্ময়কর ঘটনা।
এই ঘটনার পর বুধবার মস্কোর মেয়র শহরের আকাশে অনুমোদিত ড্রোনের উড়ান নিষিদ্ধ করেছেন।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোনো হামলায় চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, তার দেশ পুতিন বা মস্কো, কারোর উপরেই হামলা চালাইয়নি।