গত ২৪ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে এবার অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক। বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় করা বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ ঘোষণা দেন৷
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে গিয়ে করা হয়েছে। যার কারণে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ। এজন্য বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে দুই গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন কাজের কারণেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সম্প্রতি ঘোষণা করা কমিটি অবৈধ জানিয়ে সংসদ সদস্য আরও জানান, যারা এই অবৈধ কমিটিকে সমর্থন করে তাদেরও জেলা আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করবে।
এ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আজ থেকে এই অবৈধ ছাত্রলীগ কমিটিকে বরগুনায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।
এ সম্মেলনে রেজাউল কবির রেজাকে সভাপতি ও তৌশিকুর রহমান ইমরানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
বিতর্কিত এ কমিটি নিয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্ত সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলেই সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা বলার পরেও তার সামনেই ছাত্রলীগ সদস্যদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর নেতৃত্বে লাঠি চার্জ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই লাঠিচার্জে ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।