পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুরে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) জেলা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-কনস্টেবল তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম। তারা মাদারীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল।
এ ঘটনায় গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলার। পরে পুলিশে নিয়োগের সময় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন তানজিলা। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক রতনকে দেন।
এদিকে পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর।
চাকরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা শুরু করেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির জানান, অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।