বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে। এটি সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পুলিশ বিএনপিসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের উদ্দেশ্যে তাঁদের নাম, ঠিকানা, পেশা, সন্তান, সম্পত্তির বিবরণসহ চৌদ্দ গোষ্ঠীর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছে।
বুধবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন,এটা দেশে বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। সম্প্রতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে পুলিশ হয়রানি করছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের একজনের কাছ থেকে অন্যজনের তথ্য সংগ্রহেও লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটির তালিকা সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সংবিধান, ফৌজদারি কার্যবিধি, পুলিশ আইন বা পুলিশ বিধি কিংবা অন্য কোনো আইনে অনুমোদিত নয়। এতে নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়, যা সংবিধানের ৩১, ৩২ এবং ৪৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আরও ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প জাতির সঙ্গে মশকরার নামান্তর। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ইভিএম চায় না। অথচ ইসি ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা চেয়েছে। এটা তো মগের মুল্লুক।
একদিকে তারা বলছে বিএনপির সমাবেশে হামলা করবে না। অন্যদিকে, নিজেরাই উস্কানি দিচ্ছে। বিএনপি মামলা করলে সেটা খারিজ হয়ে যায়। আর তাদের মামলার তদন্তও শুরু হয়েছে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।