সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের নামফলক সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামফলক স্থাপন করায় মডেল মসজিদ উদ্বোধনকালে প্রকল্প প্রকৌশলীর ওপর হামলা ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে মুন্না ও বেলাল নামে গ্রেফতার দুই আসামিকে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হামলার শিকার প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি বাদী হয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুলকে প্রধান আসামি করে এবং ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজহারে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় ডা. মুরাদ হাসানের যে নামফলক ছিল, উদ্বোধনের আগে সেটি সরিয়ে রাখা হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী নামফলক স্থাপন করা হয়।
গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মডেল মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে এমপির নামফলক না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে হঠাৎ ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াতুল আলম মুকুল ও তার লোকজন অনুষ্ঠান চলাকালে অতর্কিত প্রকৌশলীদের ওপর হামলা করে। এ সময় মাসুদুর রহমান জনিসহ প্রকল্পের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় নিয়ে যায়।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মডেল মসজিদ প্রকল্পের প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), উপ-ঠিকাদার (সুপারভাইজার) মো. রকিব (৩০), ঠিকাদারের কর্মচারী ওসমান গণি বিপুল (২৮) ও সৌরভ (২৫) উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ।
পরে হামলাকারীরা তাদের তিনটি মোবাইল এবং মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিক্স নিয়ে যায়। সরিষাবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসকরা মো. রকিব, ওসমান গণি বিপুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, এরপরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত ২ জনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত।