প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ সম্পর্কের তথ্যে গোপন রাখতে নীল ছবির তারকাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদানের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
টানা এক বছরের তদন্তের পর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দিয়েছে নিউইয়র্কের একটি গ্র্যান্ড জুরি। তবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোন কোন বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সঙ্গে থাকা অবৈধ সম্পর্ক চেপে রাখতে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। নিজের ব্যক্তিগত আইনজীবীর দ্বারা এই লেনদেন সম্পন্ন করেন ট্রাম্প।
যদিও শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি দাবি করে আসছিলেন- এটি তার বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত।’
বৃহস্পতিবার এই রায়ের পরও পুরাতন কথাই বললেন তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমেরিকার জনগণদের পাশে দাঁড়িয়েছি, কেবল এই কারণে তারা আমার ওপর এই জাল, দুর্নীতিবাজ ও অসম্মানজনক অভিযোগ এনেছে।’
এদিকে, রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তিনি কোনো অপরাধ করেননি। আমরা এই রাজনৈতিক মামলার বিরুদ্ধে আদালতে জোরালোভাবে লড়াই করব।’
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের এই রায়কে ‘আক্রোশজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের সময়কার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল রিচার্ড পেন্স। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের ডেপুটি বলেন, এটি রাজনৈতিক অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়; আমি মনে করি আমেরিকার জনগণ এটিকে দেখবে এবং এটিকে দেশের রাজনীতির অপরাধীকরণের আরও একটি উদাহরণ হিসাবে দেখবে।’
আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটি এখন ফৌজদারি বিচারে যাবে। এরপর সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে একজন জুরি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, ট্রাম্প দোষী নাকি দোষী নন।