প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই দুই খাতের সুরক্ষা দিতে যা যা দরকার হয়, সরকার তা করবে। এ জন্য প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷
রবিবার(২৩ অক্টোবর)রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) শিল্প খাতে জ্বালানি সংকটের প্রভাব হ্রাস ইস্যুতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এমনটা জানান। বিভিন্ন শিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন৷
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকার বিভিন্ন উপায়ে শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভোলায় আট কোটি ঘনফুট গ্যাস সিএনজি করে ব্যবহারের সুযোগ আছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এসব গ্যাস বার্জে (জাহাজ) করে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে সিএনজি স্টেশন থেকে নিয়ে কারখানায় ব্যবহার করতে পারেন।
এ সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বেঙ্গল গ্রুপের অনেকগুলো কারখানা আছে সাভারে। প্রতিদিন সেখানকার কর্মীরা আমাকে ফোন করে বলেন, “স্যার, আপনি তো এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, কিন্তু আমাদের কারখানা দৈনিক সাত-আট ঘণ্টা করে বন্ধ থাকে।
বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে শিল্প খাতে সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমদানির সুযোগ যেহেতু কম, সেহেতু দেশের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে কাউকে না কাউকে ব্যবহার কমাতে হবে। বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ কমানো হলে লোডশেডিং বাড়বে। কিন্তু আমরা অঙ্ক করে দেখেছি, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে সরবরাহ কমানোর খাত হিসেবে বিদ্যুৎ খাত হবে উত্তম জায়গা।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ,জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমরা সরকার থেকে যা করার দরকার হয় করব, আপনারা সাহস হারাবেন না। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা এখানে যারা আছি, তারা সবাই শপথ নেব;দরকার হলে আমরা দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।
জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন এ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।