আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের স্বজনদের সাথে ন্যাক্কারজনক আচরণ করার অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ তুলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরকান্দায় আটজন ও ফরিদপুরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচজনের বাড়িতে পুলিশি হামলা চলেছে।
সরকারের বাধার কারণে ১০ নভেম্বর থেকেই নেতাকর্মীরা গণসমাবেশে আসতে শুরু করবেন। সমাবেশের মাঠ থেকে ফরিদপুর মহানগরী পর্যন্ত পৌছে যাবে এই জনসমুদ্র।
কোনো প্রতিবন্ধকতা দিয়ে গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। ফরিদপুর বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ সমাবেশে যোগ দিবে বিএনপির নেতা কর্মীরা। ১১ নভেম্বর আওয়ামী লীগ একটি কর্মসূচি দিয়েছে ১২ নভেম্বরের সমাবেশকে নস্যাৎ করার জন্য। অন্যদিকে ১১ ও ১২ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ সফল হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশ সফল করবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে, এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির এ সমাবেশ সফল করবে নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, এ বি সিদ্দিকী মিতুল।