30 C
Dhaka
Saturday, July 27, 2024

ফরিদপুর জেলা কারাগার: ৯১৪ বন্দির জন্য একজন ফার্মাসিস্ট, নেই চিকিৎসক

ডেস্ক রিপোর্ট:

ফরিদপুর জেলা কারাগারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক না থাকায় পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না বন্দিরা। অসুস্থ বন্দিদের জন্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষারও কোন ব্যবস্থা নেই। প্রাচীন এই কারাগারে বিপুল সংখ্যক বন্দিদের জন্য টিনসেডে ঘরের একটি কক্ষ রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে, যদিও তা ব্যবহারের অনুপযোগী।

১৮২৫ সালে ৩৪ একর জায়গা নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মূল সড়কের (মুজিব সড়ক) ঝিলটুলী এলাকাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কারাগার। ৯ একর জায়গা বন্দিদের থাকার ব্যবস্থার স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, অন্য ২৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে পুকুর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসনের ইমারত।

ফরিদপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানিয়েছেন, প্রাচীন এই বন্দিশালায় ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪২০ জন। বর্তমানে ৮৯৭ জন পুরুষ, ১৭ নারী বন্দি অবস্থান করছেন, যদিও প্রতিদিন বন্দি কম-বেশি আপডাউন করে। এখানে একটি পদ রয়েছে সহকারি সার্জন, সেটি এক যুগের বেশি সময়ে শূন্য রয়েছে।

তিনি বলেন, বন্দিদের কেউ অসুস্থ হলে আমরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন অফিস একজন চিকিৎসককে প্রেষনে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি মাঝে মধ্যে আছেন। এর বাইরে আমাদের একজন সিনিয়র ফার্মাসিস্ট রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে জনবল রয়েছে তাতে বন্দি রোগী একজনকে বাইরের হাসপাতালে প্রেরণ করলে তার পেছনে তিন জন ফোর্স দিতে হয়। এতে অন্য কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

ফরিদপুরের কারাগারের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট আশরাফুল আলম জানান, কম করে হলেও কারাগারে বন্দিদের জন্য দুই থেকে তিন জন চিকিৎসক দরকার। এছাড়াও অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল পাশাপাশি তিন থেকে চার জন সেবিকা ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার দরকার।

জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে এক হাজার ৫০ বন্দি, বর্তমানে দুইজন বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও গত এক মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক বন্দি।

জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানান, শুধু ফরিদপুর কারাগারে বন্দী নয় পার্শ্ববর্তী অন্য জেলার কারাগার থেকে অসুস্থ বন্দি আসেন এখানে। তাদের কারাবিধি নিয়মানুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য কারারক্ষীদের প্রহরায় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফরিদপুর কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, ফরিদপুরের কারাগারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বন্দিদের নানাবিধ সমস্যা হয় এটা সত্য।

তিনি বলেন, কারাগারের বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাসমূহ নিশ্চত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিতে হবে। 

ফরিদপুর কারাগারের বন্দিদের চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল প্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) অতুল সরকার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একজন চিকিৎসককে কারাগারে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারাগার পরিদর্শন করা হয়, বন্দিদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেয়া হয়। বড় কোন সমস্যা সৃষ্টিহলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক। আজ...

কেমন ছিল বুধবারের আন্দোলন, যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি সহিংসতাময় দিন পার হলো বুধবার। দিনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছেদের অভিযান। রাতে বেগম রোকেয়া হল...

কোটা আন্দোলন: ঢাকায় গুলিবিদ্ধ ৩ আন্দোলনকারী, সারাদেশে নিহত ৬  

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ উত্তাল সমগ্র দেশ। এ আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল...

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল আজ

ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দূর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার(৫ জুলাই) সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন...