পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পরে, সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সাথে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করাতে এক বৈঠক আহ্বান করেছে।
পিটিআই জানিয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান, আসাদ কায়সার, আলি মুহাম্মদ খান এবং অন্যান্যরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকে নতুন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করবে।
পিটিআই শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দাবি করেছে তারা কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সাথে জোট গঠন করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দলটি।
ব্যারিস্টার গোহর বলেছেন, “আমরা পিপিপি বা পিএমএল-এনের সাথে যোগ দিচ্ছি না।”
পিটিআই ১৫০টি জাতীয় পরিষদের আসন জিততে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন অর্জন করতে সক্ষম হবে। আমরা পিপিপি এবং পিএমএল-এনের সাথে জোট সরকার গঠন করতে চাই না। আমরা কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে সরকার গঠন করব। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই স্পষ্টতই এগিয়ে আছে এবং সেখানেও সরকার গঠন করবে। পিটিআই সংসদে থাকবে এবং তার কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিটিআই সমর্থিত এবং তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো দলে যোগ দেবেন না।
এদিকে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফ পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির সাথে দেখা করে পিএমএল-এন – পিপিপি ৪৫ মিনিটের এক বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন।
আসিফ আলী জারদারি তাদের পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ বলেছেন, ‘নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এজন্যই জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা তাকে (নওয়াজ) প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’
খুরশীদ শাহ আরও বলেন, ‘এখনও তো সবগুলো আসনের ফলাফল আসেনি। তার (নওয়াজ) এত ব্যস্ততা কীসের? যাই হোক, আমরা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।’