বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তাঁর বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার(১৬ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য শাখার উপপরিদর্শক মো. সেলিম রেজা।
এর আগে ফারদিন হত্যা মামলার আসামি আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে বুশরার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত বুশরাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন ফারদিন নূর। বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে তাঁর সংযুক্তি থাকলেও তিনি হলে না থেকে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।
গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার নিজ বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশ্যে বের হন ফারদিন। পরদিন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এরপর রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন।
এজহারে বলা হয়, পরদিন শনিবার সকালে ফারদিনের পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার হয়।
১০ নভেম্বর ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে ফারদিন নূরের বান্ধবী বুশরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে রাজধানীর রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেদিনই বুশরাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ফারদিন নূরের বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। ফারদিন নূরের সঙ্গে ওই বান্ধবীর চার বছর ধরে যোগাযোগ ছিলো বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে৷