ফেনীর সোনাগাজীতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগে স্কুল থেকে শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকে শেখ ফরিদ রনি আল হেলাল অ্যাকাডেমির খণ্ডকালীন শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে তাকে অব্যাহতি দেয়।
প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭-৮ মাস আগে স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা শেখ ফরিদ রনি আল হেলাল অ্যাকাডেমিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার গোপনে বিয়ে দিতে সম্মত হয়। একপর্যায়ে তাদের বিয়ে হয়।
আল হেলাল অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা জামায়াত নেতা ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সামছুল হকের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরে পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ছাত্রীর বয়স কম হওয়ায় তার পরিবার বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে। জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন।
সম্প্রতি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে। বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি বিয়ের বিষয়ে বলেন, পারিবারিকভাবে আকদ হয়েছে, তবে বিয়ে হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে–অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য আকদ করা যায় কিনা- সরাসরি জবাব ‘না’ দিয়ে তিনি দাবি করেন, কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় তারা বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করে চারদিকে ছড়িয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও আমাকে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে।