দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য বুধবার মোট ৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক পুরস্কার তুলে দেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।
পুরস্কারের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পেয়েছেন।
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো পুরস্কার স্থগিত করে।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তাহবিল আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করে-বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।
কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।