১৯৭৫ সালে এদেশেরই কতিপয় কুলাঙ্গার সন্তান দেশি-বিদেশি অপশক্তির সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। হত্যার পর তাদের পুরস্কৃত করা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর সেই নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। এই ছিলো তাদের চিন্তাধারা ও কর্ম।
মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব এর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন,বঙ্গবন্ধু সকল মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। ছেলে বেলাতেই তিনি নিজের গায়ের জামা খুলে গরীব সহপাঠীদের দিতেন। পিতার গোলার ধান গ্রামের দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তাঁর ছিল অদম্য সাহস ও মনোবল। সেজন্যই তিনি বঙ্গবন্ধু।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় ও সঞ্চয় অনুযায়ী দেনমোহর নির্ধারণ করা উচিত। বর্তমানে যুগে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ১৪-১৫ বছরের মেয়ের সুস্থ সন্তান হতে পারে না। সবকিছু বিবেচনা করে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ করা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে নিবন্ধন না করার নির্দেশ দেন তিনি।
মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সমিতির মহাসচিব হাফেজ সাগর আহমেদ শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো.গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতারা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।