সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার আরও অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এতে এ দুই জেলার বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রধান প্রধান নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড পাওয়ার সাব-স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শনিবার দুপুর ১২টায় কর্তৃপক্ষ দুই জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আব্দুল কাদির।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, নজিরবিহীন এ বন্যায় সিলেট বিভাগের ৮০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এই প্রথম সিলেট বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। কেননা আবহাওয়াবিদরা শনি ও রবিবার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছেন।
প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট নগরীর কয়েকজন বন্যার্ত মানুষ জানান, গত ৫০ বছরে এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তারা দেখেননি।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, উজান থেকে আসা পানি বৃদ্ধির কারণে আগামী দুই দিনে অনেক নদীর পানির উচ্চতা বাড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, অনেক নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৬টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং একই সময়ে সারি নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সুনামগঞ্জ জেলার জাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।