ববি প্রতিনিধি: গত ৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পবিত্র শব-ই-কদর, ইস্টার সানডে এবং পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
তবে বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল, ল্যাব পরীক্ষা সহ মিডটার্ম পরীক্ষা চলমান থাকায় আগামী ৫ ই এপ্রিল বন্ধ হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো।
কিন্তু গত ৩১ মার্চ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-ই-বাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে।
এতে রোজার মধ্যে খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিনগুলো বন্ধের কারণে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের চড়ামূল্যে খাবার খেতে হচ্ছে ক্যাম্পাসের সামনের ও বাইরের দোকানগুলো থেকে।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হলেও অনেকের পরীক্ষা থাকায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত হলে অবস্থান করবেন তারা। কিন্তু এর আগে হল ক্যান্টিনগুলো বন্ধ করে দেয়ায় খাবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
অপরদিকে শেরে-ই-বাংলা হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান নিম্নমানের হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের খাবার খান না। তাই বাধ্য হয়ে শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন বন্ধ রেখেছেন ক্যান্টিন পরিচালক।
শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, শেরে বাংলা হল ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে রমজান রোজা রাখা কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই হল ক্যান্টিনের খাবার বর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী জানান, শেরে-ই-বাংলা হলের ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়নি, শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে আসে না। এজন্য ক্যান্টিন পরিচালক ক্যান্টিন বন্ধ রেখেছে। শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে চাইলে চালু থাকবে ক্যান্টিন৷
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. আরিফ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়েছে। অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলতে গেলে লোকসান হয় ক্যান্টিন পরিচালকদের। আমাদের তাদেরও কথাও ভাবতে হবে। ঈদের ছুটির পরে ক্যান্টিন চালু হবে।