বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,বর্তমান সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অতি দ্রুত এ সরকারের পতন ঘটবে।চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি আর টাকা পাচার করে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই জনগণ আর তাদের দেখতে চায় না।
শনিবার(২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ওয়াসা মোড়ে নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণমিছিল–পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি এই সরকারের দায়বদ্ধতা নেই। এ সরকার লুটের সরকার।এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। সব অন্যায়ের ফয়সালা রাজপথে হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ এসেছে। অনেক বাধাবিপত্তি, পরিবহন ধর্মঘট ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের হামলার পরও সব বিভাগের সমাবেশ সফল হয়েছে। তাই ফয়সালা হবে রাজপথে। আপনারা প্রস্তুত তো?’এ সময় নেতা-কর্মীরা হাত তুলে ‘প্রস্তুত-প্রস্তুত’ বলে স্লোগান দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতা-কর্মীর মুক্তি চান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মিছিল–পূর্ব সমাবেশে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, তাঁর ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ আর এক মুহূর্তের জন্যও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ফলে গায়েবি মামলা দিয়ে, হামলা করে পতন ঠেকানো যাবে না।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, মানুষের ভোটের, ভাতের ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি মাঠে আছে। জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে। তাই বিজয় সুনিশ্চিত। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। পরে সমাবেশ শেষে ওয়াসা মোড় থেকে মিছিল বের হয়।