চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলেন এক মানবাধিকার কর্মী ও দুই মানবাধিকার সংগঠন। বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে শান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
এ বছর শান্তিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মাননা বিজয়ীদের বিষয়ে নোবেল কমিটি বলেছে, পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা বহু বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করার অধিকার ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও শান্তির এই নোবেলবিজয়ীরা প্রশংসিত।
মানবতাবাদী মূল্যবোধ, সামরিকায়নবিরোধী এবং আইনের শাসনের জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা দেশে দেশে আলফ্রেড নোবেলের শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার রূপকল্পকে পুনরুজ্জীবিত এবং সম্মানিত করেছেন; যা আজ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
পুরস্কার হিসেবে এক কোটি সুইডিশ ক্রোন পাবেন শান্তিতে নোবেলজয়ীরা। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের হাতে পুরস্কার ও অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন ফিলিপিনের মারিয়া রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
১৯০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১০২ বার। এর মধ্যে বিশ্বের সংকটপূর্ণ নানা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৫ বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থাকে।