যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার খবরগুলোর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মার্কিন মুখপাত্র বলেন, আমরা এখন বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি সহিংসতার খবরগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে, অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে। রাজনৈতিক সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করতে আমরা সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করা এবং হাজার হাজার বিরোধী দলের সদস্যকে কারারুদ্ধ করার বিষয়ে কথিত ভুয়া নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? আপনি আপনার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।’
এর জবাবে মিলার আবারো জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সেই সঙ্গে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে দেশটি উদ্বিগ্ন।
মিলার বলেন, আমরা অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা দুঃখিত যে, সব দল এতে অংশ নেয়নি এবং নির্বাচনের সময় ও এর আশেপাশের মাসগুলোতে যে সহিংসতা হয়েছে, আমরা তার নিন্দা জানাই।