পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
মঙ্গলবার(১২ জুলাই) ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোকবইতে স্বাক্ষর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, এটা অবিশ্বাস্য!বিশেষ করে জাপানের মতো দেশে যেখানে কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করা হয়। আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।
গত শুক্রবার জাপানের নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ওইদিন হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বন্ধুপ্রতিম এই দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে বাংলাদেশ। এদিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো আবের স্মরণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে।
আবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে খোলা শোকবইয়ে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, শিনজা আবে, উনি অনেক দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। উনার সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো ও উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এই উষ্ণ সম্পর্ক আমাদের দেশের জন্য খুব উপকার হয়। আমার দেশের অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট উনি সেগুলো অনুমোদন দিয়েছেন, মানে সাহায্য করেছেন। উনার সময়ে তারা বেশ এগিয়ে এসেছে।
স্বাধীনতার পরে আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতাম এমনই প্রসঙ্গ তুলে মোমেন বলেন, তখন আমাদেরকে বিদেশ থেকে সবকিছু আমদানি করতে হতো। তখন জাপানি কোম্পানিগুলো আমাদেরকে নিঃশর্তভাবে ব্যবসা দিয়েছে। বিভিন্ন রকম জিনিস তাদের কোম্পানিগুলো ও সরকার দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু জাপান সফর করলেন, তখন থেকে সব সময় আমাদের বন্ধু। সাহায্য করছেন। সবচেয়ে সুখের বিষয়, জাপান কোনো শর্ত চাপিয়ে দেয় না।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিসরে জাপানের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশও করেছে।আমরাও জাপানকে সাহায্য করেছি। আমরা ধনী দেশ নই, তাদের নিরাপত্তা পরিষদে জয়লাভের সময় আমরা তাদের সাহায্য করেছি। সেজন্য তারা বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করেছেন। এগুলো সম্ভব হয়েছিল, তাদের দেশের নেতাদের কারণে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বের কারণে।