এবারের বাজেট জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী বলা যাচ্ছে না মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের এমপি বলেছেন, আমরা একটা জিনিস খেয়াল করেছি ডিরেক্ট ট্যাক্স কিছু বিষয়ের ওপর দেওয়া হয়েছে। তবে প্রায় সবকিছুর ওপরই ইনডিরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। যেগুলো সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে, এটা আমরা বুঝতে পারলাম। গতবার যা বাজেট করা হয়েছে, তার চেয়ে এক লাখ কোটি টাকা বেশি বাজেট করা হয়েছে। এটাকে আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট বলে মনে করছি না।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে যে মন্দা চলছে বিশেষ করে বাংলাদেশে মানুষ যেভাবে দিনযাপন করছে সেখানে এত রাজস্ব আদায় করার যে টার্গেট করা হয়েছে আমরা মনে করি এটা আদায়যোগ্য হবে না। আল্টিমেটলি এই বাজেট কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বগতিতে, এটা মনে হচ্ছে আরও ওপরের দিকে উঠবে। মানুষের আয় কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে মনে হচ্ছে না এটি জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী বাজেট। নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ যাতে ভালোভাবে থাকতে পারে এমন কিছু বাজেটে রাখা হয়নি। এটাকে জনবান্ধব বাজেট বলা যাচ্ছে না। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধিরও সমালোচনা করেন জি এম কাদের।
এতে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, এখন ভোট কমা-বাড়া দিয়ে খুব একটা কিছু যায় আসে না। তবে ভোট কমারই কথা। যেহেতু জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। নির্বিঘ্নে এটা বলা যায়। যেহেতু জনজীবন অতিষ্ঠ। এখানে সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এটা (বাজেট) সহায়ক হবে।