বিএনপি খুনিদের দল। এদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জনগণই ভোটের মালিক। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে এ দেশের মানুষ।
রবিবার (৬ আগস্ট) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণভবনে সারা দেশের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। মানসিক শক্তি, আওয়ামী লীগের শক্তি। আমাদের কোনো প্রভু নেই। জনগণই আমাদের প্রভু। জনগণের কাছেই আমরা দায়বদ্ধ।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন। ৩-৪ শতাংশও ভোট পড়েনি। কিন্তু তিনি ভোট চুরি করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটচুরি মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরি করলে মেনে নেয় না। কাজেই ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপর ১২ জুন যেই নির্বাচন হয়, সেটিতে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি। ২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দিয়েছিলেন ১২টি আর জরুরি সরকার দিয়েছিল ৬টি মামলা।
আমি দুর্নীতি করতে এখানে আসিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য না। আমি ত্যাগ করতে এসেছি, ভোগ করতে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। মাথাপিছু আয় যেখানে খালেদা জিয়ার আমলে ৩৪৩ ডলারের মতো ছিল, আমরা সেটি ২ হাজার ৭৩৯ ডলারে উন্নীত করেছি। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন- এগুলো আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।