26 C
Dhaka
Wednesday, October 16, 2024

বিএনপি করলে ছেলেমেয়েদের চাকরি হচ্ছে না, এগুলো বর্ণবাদ ছাড়া কিছু না: ফখরুল

- Advertisement -

বিএনপি যারা করে তাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এগুলো বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির  ‘স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে, বিশ্ব-প্রেক্ষিতকে সামনে নিয়ে, সামগ্রিক অবস্থাকে সামনে নিয়ে আমাদের রাজনীতি, আমাদের কৌশল আবারও সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে, যেভাবে গত দিনগুলোতে এগিয়েছি। সবাইকে মনে রাখতে হবে, সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ শুধু ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে। আমাদের বিএনপি যারা করে তাদের ঘর-বাড়ি পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এগুলো বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশটাকে তারা ‍দুইভাগ করে ফেলেছে। এক ভাগ আওয়ামী লীগ, আরেকটা ভাগ হচ্ছে বিরোধী দল। এই অবস্থা তৈরি করে তারা দেশকে নিজেরাই সাম্প্রদায়িক একটা অবস্থা তৈরি করেছে। তারা আবার দাবি করে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তাদের এই জেহাদ সবসময় অব্যাহত থাকবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, যারা নিজেরা গোষ্ঠী তৈরি করেছে, বর্ণবাদ সৃষ্টি করছে তাদের মুখে এ কথা শোভা পায় না। শুধু কথা বলে মানুষের সম্পদ লুট করে, মানুষকে সর্বস্বান্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকদিন দেখছেন কী হারে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে, কীভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যেখানে স্বেচ্ছাচারিতা, সেখানে বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কার্যকলাপ ছাড়া সেখানে আর কিছু হচ্ছে না। যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যাদের যোগ্যতা নেই তাদের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

‘সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমনকি প্রাইমারি স্কুলগুলোতেও সেই দলীয়করণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এক কথায় পুরো দেশকে-রাষ্ট্রকে তারা গিলে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি,’ বলেন তিনি।

‘যা কিছু বাংলাদেশে শুভ কাজ হয়েছে, তা বিএনপি নেতারাই করেছেন’ উল্লেখ করে তরুণ সমাজকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে এত ত্যাগের পরেও আমার কাছে মনে হয়েছে তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠতে হবে, যুবকদের জেগে উঠতে হবে। ২৮ তারিখের ঘটনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমরা তরুণদের বোধহয় সেভাবে নামাতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষকে জাগিয়ে তোলা এটা এখন আমাদের প্রধান কাজ। মানুষকে আবারও সংগঠিত করতে হবে, জনগণকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, নিজের অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ভিন্ন বাংলাদেশ, আজকের বিশ্ব ভিন্ন বিশ্ব, আজ যে ভূ-রাজনীতি আছে এই ভূ-রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পরিচালিত। স্বার্থ স্বার্থ স্বার্থ-নিজ নিজ দেশ তাদের স্বার্থ ছাড়া কোনো কিছু ভাবে না। সেখানে মানবাধিকার, অন্য দেশের প্রতি, সার্বভৌমত্বের প্রতি যে শ্রদ্ধা-সম্মান সব কিছু ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।’

ফিলিস্তিনের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজায় প্যালেস্টাইনে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে নির্বিচারে একটা গণহত্যা চলছে, অথচ তারই প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলো এখন পর্যন্ত সেভাবে কথা বলছে না, গোটা বিশ্ব সেভাবে কথা বলছে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটা রেজুলেশন পাস হয়েছে গতকাল। তারপরেও গাজায় বোমা মেরেছে, প্রায় ১৫ জন হত্যা করেছে। আজ ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করেছে, সেখানে যুদ্ধ করছে প্রায় দুই বছর ধরে, সেখানে অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে। সারা বিশ্বের যারা বৃহৎ-ধনী দেশ তাদের একটাই লক্ষ্য, সেটা হচ্ছে তাদের স্বার্থ আদায় করা,’ যোগ করেন তিনি।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
ড. ইউনূস জনগণের কথা শোনেন না! ড. ইউনূসের যেসব ব্যর্থতার কথা জানালেন ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী
14:45
Video thumbnail
ড. ইউনূস প্রমাণ করছেন তিনি রাজনীতি বুঝেন না! এ কী বললেন ড. সিনহা এম এ সাঈদ?
14:15
Video thumbnail
আইন শৃঙ্খলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা কি প্রমাণিত? কোন উপদেষ্টার কি উদ্দেশ্য?
01:30:27
Video thumbnail
পুলিশের সাথে কল রেকর্ড ফাঁ*স! এবার নিজের অবস্থান জানালেন সেই নেতা শেখ রেজওয়ান!
06:33
Video thumbnail
ড. ইউনূসের সরকারের ফেইল ঠে'কা'তে কী কী করা প্রয়োজন তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন!
13:08
Video thumbnail
'সরিষার মধ্যে ভূঁ*ত' পুলিশের সাহস নিয়ে বো*/মা ফা'টা*লে'ন ড. সোলায়মান চৌধুরী
11:25
Video thumbnail
আওয়ামী লীগ খুব দ্রুত আসতে পারে দুইটি কারণে! কী সেই দুই কারণ? জানালেন ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন!
11:38
Video thumbnail
বিএনপির আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। আঃলীগ ফেরার সম্ভাবনা এবং প্রত্যাশা ও ব্যর্থতার সরকার।
01:19:44
Video thumbnail
কল রেকর্ড ফাঁ'স | মা'ম'লা নেওয়ায় পুলিশকে হু'ম'কি জামায়াত নেতার
05:46
Video thumbnail
মির্জা ফখরুলের মেয়েও কি মাস্টারমাইন্ড? আ’ন্দো’লনের সময় তার এ্যাকটিভিটি জানালেন মেজর রেজা
08:32

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe