আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস কারা করেছে এ দেশের বাচ্চাও জানে। বোমা মারো, বেগম জিয়া নিজে বলেছেন।’
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। তখন দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয় নির্বাচন হলে আবারও টের পাবেন। আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি ঘোষণা হয়।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের এসময় বলেন, ‘ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল করবে সরকারের পতন ঘটিয়ে, এসব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বুলি আউড়িয়ে গেছে। এখন ভিন্ন সুর, না জানি কী কৌশল। এখন মুখে বলছে, আমাদের সমাবেশ হবে, অনুমতি চাই। মুখে রক্ষণাত্মক মনোভাব, অন্তরে আক্রমণাত্মক শো ডাউন। আমরা প্রস্তুত আছি, ডিসেম্বরে খেলা হবে। ফাইনাল খেলা নির্বাচনে।’
বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ অনিশ্চয়তার দিকে কোনোদিনও যাবে না। তারা যত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করুক। বিএনপি এখন বলে, আগুন সন্ত্রাস নাকি আওয়ামী লীগ করেছে। ফখরুল সাহেব এত মিথ্যা কথা আপনি বলতে পারেন, এত মিথ্যাচার আপনি করতে পারেন! আগুন সন্ত্রাস কে করেছে এ দেশের বাচ্চা শিশুরাও জানে। তখন যারা বাচ্চা ছিল তারাও জানে কারা আগুন সন্ত্রাস করেছে। হাওয়া ভবন ও বেগম জিয়ার নির্দেশ কীভাবে চট্টগ্রামের এক নেতাকে…অডিওতে এখনো আছে—আগুন দাও আছে। বোমা মারো, বেগম জিয়া নিজে বলেছেন। ভুলে গেছেন?’
জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছেন এমন অভিযোগ এনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছেন। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। তারপর ২১ আগস্ট; এই দল বিএনপি শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করেছে। সংসদে কথা বলতে দেয়নি। বিএনপির প্রধানতম শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত; কেন তিনি এতদিন ক্ষমতায় আছেন। জ্বালা কেন বুঝি। তারা উন্নয়ন দেখে না। তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। ১৯-২০ বার আমাদের নেত্রী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, মাথা নত করেননি। শেখ হাসিনা হার মানতে জানেন না। তাঁকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলবেন, আপস করাবেন ১০ তারিখে। এখন আবার ডিফেন্সিভ মুড কেন? মনে হয় তো এই ক্ষমতা নিয়ে গেল। মনে হয় এই হাওয়া ভবন এসে গেল। মনে হয় এই ফিরে পেলাম ময়ূর সিংহাসন। এ রকম একটা ভাব ছিল। কোথায় গেল এই ভাব? এখন বলে আমাদের তো এ ধরনের কোনো চিন্তা ছিল না। তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা?’