সিলেটের ওসমানীনগরে এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাসে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওসমানীনগরের সিকন্দরপুর মাইগাঁও গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), পূর্বব্রাহ্মনগ্রামের আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৪) ও সিকন্দরপুর মাইজগাঁও গ্রামের সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা (৩৮)।
ওসমানীনগর থানা জানায়, ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বছরখানেক আগে রুবেল নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুবেল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গত ৩ আগস্ট রুবেল তাকে বিয়ে করবে বলে ওসমানীনগর উপজেলার সিকন্দরপুর গ্রামে ডেকে আনে। সেদিন বিকাল ৩টায় তরুণী গোয়ালাবাজার পৌঁছালে রুবেল তাকে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলে। এর কিছুক্ষণ পরই রানা ও করিম নামে দু’জনকে নিয়ে রুবেল তরুণীর হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ফজরের আজানের পর অভিযুক্তরা তাকে ছেড়ে দেয়।
তরুণীর অভিযোগ, আসামি রুবেল, রানা ও করিম পরস্পর সহযোগীতায় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর জাহাঙ্গীর ও কামাল তাদের সহযোগীতা করে। এছাড়া তারা মোবাইল সেট, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের কানের দোলও কেড়ে নেয়।
তবে মামলার প্রধান দুই আসামি রুবেল ও করিমের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ বা ভুক্তভোগী তরুণী কেউই জানাতে পারেননি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।