মো.সজল মিয়া, প্রতিনিধি: দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী রাস্তার মাঝে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। সেই করতোয়া নদীর বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাথরের ঢালাই ব্রিজ কাজ শুরু হওয়ায় দুই পারের মানুষদের যোগাযোগে কিছুটা সংকটের মুখে পড়েছে। যোগাযোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পাশেই কাঠের ব্রিজ বানিয়ে দেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. রতন।
বৃষ্টিতে হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই পাড়ের যোগাযোগের মাধ্যম কাঠের ব্রিজের উপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে এতে দুই পারের যোগাযোগ ব্যবস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
এই সমস্যা নিয়ে স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্রিজটি অনেক নিচু করায় অল্প পানি বেড়ে যাওয়াতেই সহোযোগী কাঠের ব্রিজ ডুবে যাচ্ছে। এতে পারাপারে সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, এই ব্রিজের মাধ্যমে চলাচল করে দৈনিক ১২০০-১৫০০ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সমস্যা হবে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র বলেন, জয়পুরহাট ও দিনাজপুরের সঙ্গে গাইবান্ধা এবং রংপুর জেলার যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা হচ্ছে ঘোড়াঘাটের করতোয়া বেইলি ব্রিজ। এই ব্রিজের জন্য সরকার ইতোমধ্যে বাজেট দিয়েছে এবং কাজও চলমান রয়েছে। এখানে যেহেতু প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাফেরা। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এবং রংপুরগামী রোগীরা জরুরি চিকিৎসার জন্য এ রাস্তার ব্যবহার করে থাকে।
তিনি বলেন, এই ব্রিজটি কাজ শুরু হওয়ার পরে পাশে একটি অপরিকল্পিতভাবে কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়। যে কাঠের ব্রিজটি এক থেকে দুই দিনের বৃষ্টিতেই পানির নিচে চলে যায়। যার কারণে আমি কাঠের ব্রিজের পরিবর্তে এবং জনদুর্ভোগ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ওখানে ভাসমান সেতুর ব্যবস্থা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই কাঠের ব্রিজটি অপরিকল্পিত। সরকারের যে বাজেট ছিল এই কাঠের ব্রিজ তৈরি করার ক্ষেত্রে আমার মনে হয় সেই বাজেটে একটি পরিকল্পিত ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে কাঠের ব্রিজটি ডুবে যাওয়ার কারণে মানুষরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এই বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. রতন মেয়র জানিয়েছেন, জনদুর্ভোগের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি। পিডি মো. রতন সাহেব ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়রকে জানান এটি সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। কিন্তু মেয়র মিলন লক্ষ করেছেন যে জনবহুল জায়গাতে এরকম ছোট কাঠের ব্রিজ তৈরি করা একটি অপরিকল্পিত ।
এই বিষয়ে পিডি মো. রতনকে ফোন দেওয়ার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কোন মন্তব্য না করেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।