নানা অভিযোগের পর এবার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না।
পরবর্তীতে আদালতের দেয়া আদেশে বলা হয়েছে, ‘মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুদক বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেয়া হলো।’
বেনজীরের গোপালগঞ্জ ও ঢাকায় শতাধিক একর জমি রয়েছে। যার বেশির ভাগই তার স্ত্রী জিশান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে কেনা। এসব স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় রূপায়ণ মিলিনিয়াম কেয়ার ভবনের পার্টনার বেনজীর আহমেদের স্ত্রী। এ ছাড়া তার স্ত্রী জিশান মির্জার নামে গোপালগঞ্জে বিভিন্ন দলিলে কয়েকশ’ একর জমি রয়েছে। মোট ৬৫টি দলিলের অধিকাংশই বেনজীরের স্ত্রী ও তার মেয়ের নামে কেনা।
পুলিশের সাবেক এই কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকসহ অন্তত ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশও দেয়া হয়েছে।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংক হিসাবে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য রয়েছে।
এর আগে গত ২৩শে এপ্রিল তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।