মাত্র ১০ দিনে পাঁচ লাখ ইউরো খরচ করে সমালোচনায় পুড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানুমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জনগণের করের টাকায় তিনি বিদেশ ভ্রমণে অতিরিক্ত খরচ করেছেন- এমনই অভিযোগ করেছে ব্রিটেনের বিরোধী দল।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ঘোরাফেরার খরচ দেখলে যে কেউই বিষ্মিত হবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন বেহিসেবি খরচকে এবার নির্বাচনের আগে মূল হাতিয়ার করছে বিরোধীরা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র ১০ দিনে ভ্রমণ খরচ বাবদ পাঁচ লাখ ইউরো উড়িয়েছেন ঋষি সুনাক। ব্যক্তিগত বিমানে বিদেশ ভ্রমণের জন্য জনগণের বিপুল অংকের করের টাকা খরচ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, এমন অভিযোগ আছে ঋষির বিপক্ষে। কোন বিদেশ সফরে কত টাকা খরচ হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গেছে, কপ২৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিসরে গিয়েছেন ঋষি সুনাক। ৬ নভেম্বর সম্মেলনে যোগ দিয়ে সেদিনই আবার ব্রিটেনে ফেরত এসেছিলেন। ২৪ ঘণ্টার এই সফরে ব্রিটিশ সরকারের খরচ হয়েছিল এক লাখ আট হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা।
পরের সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালি গিয়েছিলেন সুনাক। উদ্দেশ্য জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই ভ্রমণে তার খরচ হয়েছিল ৩৪ লাখ ইউরো। তার লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া সফরে ডিসেম্বরে খরচ হয় প্রায় ৬৩ হাজার ইউরো। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে আড়াই হাজার ইউরো খরচ করেছিলেন।
ঋষি সুনাকের এই খরচের বহরকে কটাক্ষ করেছেন ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্রেটরা। তাদের দাবি, আমজনতার করের টাকা বেহিসেবি খরচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।