বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বোমার আওয়াজ নেই, কিন্তু বোমাবাজির মামলা হয়ে যাচ্ছে।কোনো কোনো জায়গায় গায়েবি বোমাও ফোটে! বোঝাও যায় না।
বুধবার(৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। পুলিশের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা এবং পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেখেছি গায়েবি মামলা কোথা থেকে মামলা নাজিল হয়, আল্লাহ জানে। এখন দেখছি, নাটুকে মামলা অর্থাৎ নাটক করে প্রথম, মামলা দেয় পরে।
মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থল নিয়ে নাটক করা হচ্ছে। এই নাটক বাদ দেন। নাটকের কথাবার্তা বাদ দেন। গুলি খেয়ে, মামলা খেয়েও দলের নেতা–কর্মীরা বিএনপির সভায় আসছেন। তাঁরা রাতে বাসায় ঘুমাতে পারেন না।
পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘুম নেই আমার প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা তো বাসায় থেকেও ঘুমাতে পারছেন না। বাসায় আরামদায়ক বিছানায় ঘুমাতে পারছেন না। কিন্তু কেন? কী কারণে আপনাদের ঘুম হচ্ছে না। ভাবছেন, এই তো ক্ষমতা গেল। বিএনপি জনগণ একসঙ্গে আছে। ঐক্যবদ্ধ আছে। এই জনগণের জোয়ারে ভেসে যাবেন। টের পেয়ে গেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার পেছনে সরকারের অশুভ উদ্দেশ্য আছে। নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ হবে। এটাই বিএনপির সিদ্ধান্ত। এখানে সমাবেশ নিয়ে বিএনপি অটল। কারণ, দলের নেতা-কর্মীরা নিরাপদ বোধ করেন নয়াপল্টনের সামনে।এর আগেও তো নয়াপল্টনে সমাবেশ হয়েছে। এখনো সমাবেশ হচ্ছে। তাহলে ১০ তারিখে দিতে সমস্যা কোথায়?
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির বলেন, গায়েবি মামলা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ১০ তারিখে জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখাবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ১০ তারিখ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দেবেন না। নিজেরা বোমা ফুটান আর বোমার মামলা দেন। নিজেরা গাড়ি জ্বালিয়ে দেন আর বলেন আগুন–সন্ত্রাস। ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ধৈর্যের বাঁধ যাতে না ভাঙে।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে, আন্দোলন বন্ধ করার জন্য। শেখ হাসিনা মনে করেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো দমননীতি চালিয়ে ২০২৩ সালে আরেকটি নির্বাচন করবেন। আমাদের সভা সমাবেশ করতে দেবেন না।
আমান উল্লাহ দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যাঁরা গ্রেপ্তার করতে যাবেন, তাঁদের ঘেরাও করবেন। কাউকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেবেন না।