ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে(ববি) প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এ.টি.এম. রফিকুল ইসলামের সাথে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎ এর এক ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে প্রক্টর অফিস। অফিসের দরজায় এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ সাঁটানো হয়েছিল।
নোটিশে বলা হয়, প্রক্টরের সাথে সাক্ষাতের সময়সূচি। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার। সময় বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে প্রক্টর মহোদয়কে প্রক্টর অফিসে পাওয়া না গেলে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য বলা হলো।
তবে নোটিশে কয়েকটি বানানে ভুল দেখা যায়, এরমধ্যে ‘রবিবার’ এর পরিবর্তে ‘বরিবার’ উল্লিখিত পরিবর্তে উল্লেখিত, জরুরীর পরিবর্তে ‘জরুরি’ ‘নাম্বার’ এর পরিবর্তে ‘নম্বর’ ‘হলো’ এর পরিবর্তে ‘হইলো’ লেখা হয়।
বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে প্রক্টর অফিসের দরজা থেকে নোটিশটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নোটিশের বিষয়টি হাস্যকর। একজন প্রক্টরের সাথে দেখা করার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার কি দশা হবে একটু ভাবুন। প্রক্টর অফিস শিক্ষার্থীদের সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত ৷ সেখানে এ ধরনের নোটিশ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। তাই এ নোটিশ সাঁটানো বন্ধ করা উচিত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এ.টি.এম. রফিকুল ইসলামের বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি আমার সাথে সাধারণ কোনো বিষয়ে সাক্ষাৎ করতে চায় তাহলে ঐ নির্দিষ্ট সময়ে আমাকে প্রক্টর অফিসে পাবেন। এই নোটিশের মূল উদ্দেশ্য, অনেক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাতের জন্য আসেন তারা যেন জানতে পারে ঐ সময়ের মধ্যে আমি অফিসে থাকবো। এছাড়া জরুরী যেকোনো মুহুর্তে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই আমাকে পাবেন।
নোটিশে বানান ভুলের বিষয়ে প্রক্টর বলেন, আমি আমার অফিসের অফিসারকে ঠিকঠাক লিখে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে টাইপিং এ ভুল করেছে।