ছয় সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল বলে স্বীকার করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিইসি জানান, তারা অনুমান করছেন, ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনা শেষে এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।
তিনি বলেন, ভোটের মাঠে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে যে সহায়তা পাওয়া গেছে তা সন্তোষজনক।
আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ছয় আসনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হয়েছে। ভোটে অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়েছেন। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে নজর রেখেছেন। অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েকটি জায়গায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। দুয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ দেখা গেছে—এমন সংবাদ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর দেখে তারা ওই এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছেন। একটি কেন্দ্রে একজন নারী ভোটার তার দুই বাচ্চাকে নিয়ে বুথে ঢুকেছেন। আরেকটি কেন্দ্রে এক ভদ্রমহিলা একজন অসুস্থ লোককে ভোট দিতে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘এগুলো হতে পারে। এগুলোকে আমরা খুব গুরুতর বা ব্যাপক অনিয়ম মনে করছি না। ভোটের ফলাফল পাল্টে যেতে পারে এ ধরনের ঘটনা আমাদের কাছে মনে হয়নি