নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মডেল মসজিদে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতের বিস্ফোরণ ‘সাধারণ ঘটনা নয়’ বলে মনে করছে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
র্যাব বলছে, ‘মসজিদে গ্যাসের লাইন ছিল না। অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে একটি কক্ষের দরজা-জানালার গ্লাস ও সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোঝা গেছে এটা স্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ড নয়, সল্প পরিসরে বিস্ফোরণ।’
মডেল মসজিদের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পর র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপপরিচালক মেজর মশিউর রহমান আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এসব কথা বলেন।
এদিকে বিস্ফোরণে সম্পৃক্ত থাকা সন্দেহে মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। আবদুল হালিমের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়।
বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সিআইডি, পিবিআই, ফরেনসিক ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে এবং তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর মশিউর রহমান বলেন, ‘এটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কিংবা নাশকতামূলক কাজের ইন্ধন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
গ্রেপ্তার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিস্ফোরণস্থলে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি মেলেনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল হালিম দাবি করেছেন যে তার ব্যাগের ভেতর বডি স্প্রের একটি বোতল ছিল। এছাড়া অন্য কিছু ছিল না। বডি স্প্রের বোতল থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অপরদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভাধীন আলীপুর মহল্লায় সোনাপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বেগমগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ওই কক্ষের ৩টি জানালা, ২টি দরজা ও সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় কক্ষে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।