শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। আগের মতোই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার মেডিকেল টিমের সদস্যরা। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড তাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সে অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ দিবাগত রাত ২ টা ৩০ মিনিটে বাসা থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় ৭৮ বছর বয়সী এই নেত্রীকে। এর আগে টানা পাঁচ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
পরে গত ১১ জানুয়ারি চিকিৎসকের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বুধবারও (২৭ মার্চ) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেদিন শুরুতে তাকে হাসপাতালে ভর্তির কথা ভেবেছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বাসাতেই তার চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি প্রধানের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে।
কিন্তু আইনমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করার শর্তে খালেদার মুক্তি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।