20 C
Dhaka
Thursday, December 5, 2024

মাকে আত্মগোপনে যেতে টাকা দিয়েছিলেন খোদ মরিয়ম মান্নান

- Advertisement -

গেলো বছরের দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত এক চরিত্র ছিলেন মরিয়ম মান্নান। মায়ের নিখোঁজ হওয়া, পরবর্তীতে সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন, মিডিয়া কাভারেজ করে রীতিমতো ভাইরাল হন তিনি। একপর্যায়ে পোশাক দেখে মায়ের লাশ শনাক্তও করেন। তবে, এর একদিন না পেরোতেই জীবিত উদ্ধার করা হয় মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে।

খুলনার রহিমা বেগমের অপহরণের নাটকের পর সন্তান মরিয়ম মান্নানের এসব কর্মকাণ্ডে ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় এসেছিল। ওই মামলার তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

খুলনা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত আমরা শেষ করেছি। পরে পিবিআই সদর দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হবে।’

পিবিআই সূত্র বলেছে, মরিয়ম মান্নানের মাকে কেউ অপহরণ করেনি। বরং পরিকল্পিতভাবে তিনি আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। আর এই পরিকল্পনার হোতা ছিলেন মরিয়ম মান্নান নিজেই। ঘটনার দিন মাকে আত্মগোপনে যাওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে টাকাও পাঠিয়েছিলেন মরিয়ম, যা তাদের তদন্তে উঠে এসেছে।

পিবিআই সূত্র জানায়, রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার ২৫ দিন আগে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় মেয়ে মরিয়ম মান্নানের বাসায় গিয়েছিল তিনি। সেখানে বসেই তারা সাজিয়েছিল এই নাটক। ২৭ আগষ্ট বিকেলে মরিয়ম মান্নান ঢাকা থেকে বিকাশের মাধ্যমে খুলনায় মাকে এক হাজার টাকা পাঠান। তার মা সেখান থেকে ৯৮০ টাকা ক্যাশ আউট করেন। রাতে আত্মগোপনে যান তিনি। বিকাশের অফিশিয়াল তথ্য তদন্তের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সেদিনই রাত সোয়া ২টার দিকে দৌলতপুর থানায় মায়ের অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী। পরে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্ট দৌলতপুর থানায় মামলা করেন রহিমার মেয়ে আদুরী আক্তার।

ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের সবাইকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

পিবিআই বলছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মরিয়ম মান্নানদের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা ছিল। এ নিয়ে রহিমা বেগম আদালতে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় প্রতিবেশীরাই জিতে যাচ্ছিলেন। রহিমার জমির অংশ তার মেয়েরা লিখে নিয়েছিলেন। তাই প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে তারা এই চক্রান্ত করেছিলেন।

এমনকি ফুলপুরে গিয়ে মরিয়ম মান্নান অজ্ঞাত লাশকে নিজের মা দাবি করাও চক্রান্তের একটি অংশ ছিল বলে জানায় পিবিআই। অজ্ঞাত মরদেহকে মা হিসেবে দাবি করার ঘটনায় তারা থানায় যা লিখিত দিয়েছিলেন, তাও তদন্তের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই মামলায় মরিয়ম মান্নান ও তার মা রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে দুজন ইতিমধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ ও দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার।

পিবিআই সূত্র বলেছে, ছেলে মিরাজ মায়ের বিচার চেয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতে বলেছেন, রহিমা বেগম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। এটা তার ইগোতে লেগেছে। এ জন্য তিনি স্বেচ্ছায় মায়ের বিচার চেয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ছাড়া রহিমা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার আদালতে বলেছেন, মরিয়ম মান্নান তাকে বলেছিলেন প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে। তিনি মরিয়মের কথায় রাজি না হওয়ায় পুলিশকে ফোর্স করে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল। তবে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে রহিমা বেগম কখনো কিছু স্পষ্ট করে বলেননি।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, রহিমা বেগম অত্যন্ত চতুর। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের একের পর এক হয়রানি করে এসেছেন। আত্মগোপনের বিষয়টির সব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেও রহিমা বেগমের মুখ থেকে কোনো তথ্য বের করা যায়নি। এ ছাড়া তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানও মায়ের মতো একই প্রকৃতির।

মাকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে মেয়ে মরিয়মের একের পর এক নাটক সাজানোর মধ্যে ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অক্ষত ও স্বাভাবিক অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রহিমা বেগম আদালতে দাবি করেন, তিনি অপহৃত হয়েছিলেন।

তবে পিবিআই বলছে, রহিমা বেগম অপহৃত হয়েছিলেন- এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং তিনি নিজেই আত্মগোপনে গিয়েছিলেন বলে একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মগোপনে যাওয়ার পরে রহিমা বেগম একপর্যায়ে বান্দরবনে গিয়ে একটি হোটেলে কাজ করেন। পরে ফরিদপুরের বোয়ালখালীর সৈয়দপুর গ্রামে যান। সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক শেখের কাছে তিনি একটি জন্মনিবন্ধন চেয়েছিলেন। তাও পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
প্রধান উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি! এবার ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা।
00:00
Video thumbnail
কলকাতার হাসপাতালে খা খা শূন্যতা, চ'র’ম সং'ক'ট, ছাড় ঘোষণা করেও মিলছে না রোগী
01:37
Video thumbnail
টাকার ডিজাইন পরবির্তন নিয়ে যা জানা যাচ্ছে, বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত শেখ মুজিবের ছবি
02:18
Video thumbnail
ভারতে বাংলাদেশী যুবককে তুলে নিয়ে মা'রধ'র করে ফেসবুকে ছবি শেয়ার
02:05
Video thumbnail
ভারতীয় মিডিয়াগুলো ষ’ড়য’ন্ত্র করেও যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
09:27
Video thumbnail
ভারত বিশ্বজুড়ে ভ'য়া'বহ গু’জ'ব ও অ'পত'থ্য ছড়িয়ে যেভাবে আ'ঘা'ত করছে বাংলাদেশকে
09:59
Video thumbnail
ভারতীয় মিডিয়ার গুজবের বি'রু'দ্ধে বাংলাদেশী মিডিয়া কেন পা'ল্টা নিউজ করছে না? ব্যারিস্টার ওমর ফারুক
07:29
Video thumbnail
এক দুইটা সংখ্যালঘুর লা'শ পড়ুক এটাই চায় বিজেপি? বিজেপির চক্রান্ত ফাঁ"স! ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারী
07:46
Video thumbnail
ভারতের অপ-তথ্যের নেপথ্যে কী? তবে কি ভারত প্রতিবেশী হারাচ্ছে? যা বললেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক
12:30
Video thumbnail
কলকাতা থেকে ফেস দ্যা পিপলে কথায় বলায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় পড়ার আশংকা ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারীর!
10:26

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe