মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই। বেশ কিছু সময় আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এটা কেবল দূরভিসন্ধিমূলকই নয়, তাদের ‘রেজিম চেঞ্জে’র কৌশলের অংশ। তারা সেন্টমার্টিন চায়, কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়। আর তার জন্য শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এটা তাদের পুরান নীতির ধারাবাহিকতা।
গতকাল বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে আমেরিকা বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল। তীব্র খাদ্য সংকটের সময় বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে মধ্যসমুদ্র থেকে গমের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে তাদের কালো হাত ছিল।
তিনি বলেন, এখন আবার বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সবকিছু করছে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন করে আমি বলতে চাই বাইডেন সাহেব ট্রাম্পকে সামলান। আমাদের ঘর আমরা সামলাবো। নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে রেখেই হবে। বিএনপির উচিত হবে এ নির্বাচনে অংশ নেয়া।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান নির্বাচন না করে ২০২৯-এর জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে। উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য আইনমন্ত্রী মাঝে মাঝেই সরকারের উদ্যোগের কথা বলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম যে, সেই জামাতকে পুলিশ বেশ সমাদর করে অন্যের সভা সরিয়ে নিতে বাধ্য করে, জামাতকে ১০ বছর পর প্রকাশ্য সভা করার অনুমতি দিয়েছে। এটা কিসের আলামত আমরা জানি না। এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন জামাত যুদ্ধাপরাধীর দল, ঘাতক দল। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে একথা বলেছে। এর জন্য নতুন করে আদালতের রায়ের প্রয়োজন নাই।
তিনি আরো বলেন, জামাত কিন্তু তার অবস্থান থেকে এক চুলও সরে নাই। ওই সমাবেশ করে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিরই পুনরাবৃত্তি করেছে। বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদা বলেছিলেন বিএনপি-জামাত একই বৃন্তের দু’টি ফুল। যে কথাটা আমি সবসময় বলি, এখনো বলছি সাপের মুখে চুমু খেলে সাপ ছোবলই মারে। জামাত-হেফাজতের সাথে তোষামোদ-সমঝোতা সেই ফলই দেবে। আমেরিকার ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায়।